শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের কৃষক মোঃ জালাল গাজীর ৩৬০ টি তরমুজ চারা উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে আমতলী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে।
জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা গ্রামের কৃষক মোঃ জালাল গাজী এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে ওই তরমুজ গাছে ভালো ফলন ধরেছে। কিন্তু তার এ ফলন ধরা সহ্য করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের আধারে ওই তরমুজ ক্ষেতের ৩৬০ টি গাছ উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে কৃষক জালাল গাজী ক্ষেতে গিয়ে তরমুজ চারা উপড়ে ফেলা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেন। তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তরমুজ চারা উপড়ে ফেলার দৃশ্য দেখতে পায়। এতে তার অন্তত লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জালাল গাজী। শুক্রবার সকালে ওই উপড়ে ফেলা ৩৬০ টি তরমুজ গাছের তারা জালাল গাজী আমতলী থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে জালাল গাজী বাদি হয়ে হেলাল গাজীকে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় তিন জনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন।
কৃষক জালাল গাজী অভিযোগ করে বলেন, তার আপন ভাই মোঃ হেলাল গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হেলাল গাজী তার ছেলে লিমন গাজী ও শাহীন গাজী রাতের আধারে আমার সর্বনাশ করার জন্য এ তরমুজ চারাগুলো উপড়ে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, তরমুজ রোপনের পূর্বে হেলাল আমাকে হুমকি দিয়েছিল আমার তরমুজ ক্ষেত নষ্ট করবে বলে। হেলাল যা বলেছে তাই করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় নারী কৃষক ফরিদা বেগম ও কনা বেগম বলেন, শুক্রবার সকালে ডাকাডাকি শুনে জালাল গাজীর ক্ষেতে গিয়ে দেখি অনেক তরমুজের চারা উপড়ে ফেলা। রাতের আধারে শত্রুতাবসত কেউ এ চারা গুলো উপড়ে ফেলেছে। তারা আরো বলেন, এতে তো আমাদের মাঝেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন তারা।
এ বিষয়ে হেলাল গাজীর ছেলে শাহীন গাজী তরমুজ চারা উপড়ে ফেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সাথে আমার পরিবারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।